নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আগামী ১৩ ও ১৪ জুন ২০২৫, শুক্রবার ও শনিবার, অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী "ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ জার্নালিস্ট কনফারেন্স- ২০২৫"। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন দেশের দুই প্রথিতযশা সাংবাদিক- সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ এবং সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের সেন্ট্রাল কমিটির মহাসচিব মোঃ আব্দুর রহমান।
এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের সেন্ট্রাল কমিটি এবং নেপালের প্রভাবশালী সাংবাদিক সংগঠন ন্যাশনাল ফোরাম ফর নেওয়ার জার্নালিস্ট। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে সম্মেলন ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং অতিথিদের স্বাগত জানানোর জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।
দক্ষিণ এশিয়ায় মাতৃভাষা সাংবাদিকতার গুরুত্ব ও চ্যালেঞ্জ
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আগত একশ’র বেশি সাংবাদিক অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনে মাতৃভাষায় সাংবাদিকতা চর্চার গুরুত্ব, চ্যালেঞ্জ, আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং ভাষাভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংহতির উপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হবে।
মাতৃভাষায় সাংবাদিকতা শুধু ভাষা রক্ষারই নয়, একইসাথে জনগণের সঙ্গে গণমাধ্যমের সংযোগ সুদৃঢ় করার এক অপরিহার্য মাধ্যম- এই বিষয়টি সামনে রেখেই সম্মেলনের আলোচ্যসূচি সাজানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থান
বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদ্বয় দেশের সাংবাদিক সমাজে সুপরিচিত এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার প্রতিনিধিত্বে অভিজ্ঞ। রফিকুল ইসলাম আজাদ পেশাগত জীবনে দীর্ঘদিন দেশের প্রথম সারির পত্রিকায় কাজ করেছেন এবং সাংবাদিক সংগঠনেও রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। অপরদিকে মোঃ আবদুর রহমান সার্কভুক্ত দেশগুলোর সাংবাদিকদের মধ্যে সমন্বয় সাধনে ভূমিকা রেখে আসছেন।
অতীত সম্মেলন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
উল্লেখ্য, সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম দক্ষিণ এশিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে গত দুই বছরে দশটিরও বেশি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সর্বশেষ ভারতের রাজস্থানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনেও বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিক প্রতিনিধিদল অংশ নেয় রফিকুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে। এসব সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়ার সাংবাদিক সমাজের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পেশাগত উৎকর্ষতার সুযোগ সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের এ সফর শুধু সাংবাদিকতার আন্তর্জাতিক সংলাপে অংশগ্রহণই নয়, বরং মাতৃভাষার মর্যাদা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও দক্ষিণ এশীয় সংহতির বার্তা নিয়েও বিশ্বমঞ্চে এক ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।