নাজমুল হোসেন শান্তর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়ে নানা আলোচনা হলেও তিনি এতদিন বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। বিসিবিও এই প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে অবশেষে নিজেই নেতৃত্ব ছাড়ার প্রকৃত কারণ প্রকাশ করেছেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক। শান্ত জানিয়েছেন, ব্যাটিংয়ে মনোযোগ বাড়াতেই তিনি কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান শান্ত। এরপর ওই ফরম্যাটে বাংলাদেশের নেতৃত্ব বর্তেছে লিটন দাসের উপর। শান্ত যদিও একপর্যায়ে তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তবে বিসিবির অনুরোধে তিনি টেস্ট দলের নেতৃত্বে রয়ে গেছেন। বিসিবি চায়, অন্তত লাল বলের ক্রিকেটে শান্ত দায়িত্ব পালন করুক, আর সেই ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি এখন কেবল টেস্ট ফরম্যাটে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ সামনে রেখে শান্ত জানালেন টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার নেপথ্য কারণ। তার ভাষায়, “আমি নিজে থেকেই বোর্ডকে জানিয়েছিলাম যে আমি এই ফরম্যাটে আর নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী না। আমার ইচ্ছে ছিল ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার। কারণ, আমাদের সামনে তিন ফরম্যাটেই প্রচুর খেলা রয়েছে — টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি।” শান্তর অধীনে বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টিতে তুলনামূলক ভালো খেললেও তার নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছিল। বিশেষ করে ছোট ফরম্যাটে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় অনেকেই তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে শান্ত এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যাটিংয়ে নিজের উন্নতির লক্ষ্যে।
তিনি আরও বলেন, “ব্যাটিং নিয়ে কাজ করাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল, বিশেষ করে অধিনায়কত্বের চাপের কারণে। তাই আমি বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলাম যেন আমাকে এই ফরম্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, যাতে আমি নিজের ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দিতে পারি এবং দলের জন্য আরও ভালোভাবে অবদান রাখতে পারি।” উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ চলাকালে শান্ত জানিয়েছিলেন যে তিনি কোনো ফরম্যাটেই অধিনায়ক থাকতে চান না। তবে বিসিবি তার সেই অনুরোধ তখন গ্রহণ করেনি। বর্তমানে তিনি কেবলমাত্র টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।