প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চার দিনের লন্ডন সফরকে ঘিরে বহুমাত্রিক সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার রাতের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এই সফর সম্পর্কিত একটি স্ট্যাটাস প্রকাশ করেন।
স্ট্যাটাসে প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের ঐতিহাসিক বৈঠক ছাড়াও ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে তাঁর একান্ত সাক্ষাৎ, মর্যাদাপূর্ণ একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার গ্রহণ, যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পদ জব্দ এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে অগ্রগতি—সব মিলিয়ে এই সফর ছিল তাৎপর্যপূর্ণ।
‘যুক্তরাজ্য সফরের অর্জন’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন, ব্রিটেনের রাজা চার্লসের কাছ থেকে ড. ইউনূসের সম্মানজনক পুরস্কার গ্রহণ এবং রাজার সঙ্গে ৩০ মিনিটের একান্ত আলাপচারিতা বাংলাদেশের চলমান গণজাগরণ ও গত বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিরই বহিঃপ্রকাশ।
ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এবং দেশের বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের নেতার মধ্যে এই আলোচনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য ‘গেম ওভার’ সংকেত বহন করে।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ) শেখ হাসিনার একজন ঘনিষ্ঠ সহকারীর ৩২০টি সম্পত্তি, যার আনুমানিক মূল্য ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড, জব্দ করেছে। এনসিএ’র মতে, এটি তাদের ইতিহাসে একক বৃহত্তম সম্পদ জব্দ অভিযান। প্রেস সচিবের মতে, এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা—একইসঙ্গে এটি সম্পদ উদ্ধারে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উদ্যোগের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্তও।
পোস্টের শেষাংশে প্রেস সচিব লেখেন, বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে ব্রিটিশ মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা ও কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের গভর্নর ও দুদক প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি নতুন পথ উন্মোচিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে সম্পদ পুনরুদ্ধারের কাজে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কিছু ইতিবাচক সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।