বেতন কমলেও বার্সেলোনায় যেতে আগ্রহী ‘ইয়ামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু’।

গত গ্রীষ্মের দলবদলে বার্সেলোনা তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে অনেক চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি। এক বছর পর নিকো উইলিয়ামস নিজেই এখন বার্সেলোনায় খেলতে আগ্রহী। তার কাতালান ক্লাবে যোগ দেওয়ার আলোচনা হঠাৎ গতি পেয়েছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বেতন কমিয়ে হলেও অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ফরোয়ার্ড নিকো উইলিয়ামস বার্সেলোনার জার্সি পরে বন্ধু লামিন ইয়ামালের সঙ্গে খেলতে চান। মুন্দো দেপোর্তিভোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বার্সেলোনার ক্রীড়া পরিচালক ডেকো ইতিমধ্যে নিকোর এজেন্ট ফেলিক্স তাইন্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিকো ‘বার্সেলোনায় খেলতে পাগল’। যদি তিনি অ্যাথলেটিক ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তার প্রথম পছন্দ হবে বার্সা। উইলিয়ামসের সামনে বায়ার্ন মিউনিখেরও প্রস্তাব রয়েছে। তবে তিনি আগে নিশ্চিত হতে চাইছেন যে, লামিন ইয়ামালদের সঙ্গে বার্সেলোনায় খেলার সুযোগ বাস্তবসম্মত হবে কি না।

এছাড়া জানা গেছে, উইলিয়ামস বার্সেলোনায় যাওয়ার জন্য তার বেতনও কমিয়ে নিতে রাজি আছেন। স্প্যানিশ সাংবাদিক সান্তি আউনা জানিয়েছেন, ‘উইলিয়ামস আগের বার্সেলোনার বেতন প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন, যা বছরে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ইউরো।’ তবে এখনও বার্সেলোনার সঙ্গে আর্থিক দিকগুলো মেলাতে হবে। কারণ ক্লাবটি চাইলেও তাকে দলে নেওয়া সব সময় সম্ভব নয়। উইলিয়ামসের চুক্তিতে একটি মুক্তির শর্ত (রিলিজ ক্লজ) রয়েছে, যা প্রায় ৬২ মিলিয়ন ইউরো বলে ধারণা করা হয়।

এবারের দলবদল মৌসুমে বার্সেলোনা কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড লুইস দিয়াজকেও দলে আনতে চায়, যার জন্য ক্লাবকে কমপক্ষে ৮০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করতে হবে। এর তুলনায় নিকোর রিলিজ ক্লজ অনেক কম হলেও এটি একটি বড় অঙ্ক। বার্সেলোনার পক্ষে এই চুক্তি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে কি না তা এখন দেখার বিষয়। তবে নিকো উইলিয়ামস যে কাতালান ক্লাবে আসতে আগ্রহী, তা প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।

জাতীয় দলে খেলতে গিয়ে নিকো ও ইয়ামালের ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়েছিল। গত ইউরোতে দেখা গেছে, তারা দুই তরুণ তুর্কি গোলের পর একসঙ্গে নেচে-গেয়ে উদযাপন করেছিল। এবার সেই দৃশ্য ক্লাবের জার্সিতেও নিয়মিত দেখা যেতে পারে। তবে সেটা বাস্তবে রূপ নেবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।