যুক্তরাষ্ট্রকে সংঘাতে টানতে চায় ইসরায়েল, যেন মধ্যপ্রাচ্যে ত্রি-দেশীয় যুদ্ধের চাপে অঞ্চলটি ভেঙে পড়ে। بطভাবে, বিশ্ব পরাশক্তির সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ ইরানের জন্য সহজ হবে না। আর সেই দুর্বল মুহূর্তটিকেই কাজে লাগাতে চান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। লক্ষ্য—যুক্তরাষ্ট্রকে সামনে রেখে ইরানে শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো। আলজাজিরায় প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে এমন ধারণাই উঠে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ডিকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির অধ্যাপক শাহরাম আকবারজাদেহ জানান, ইসরায়েল ও ইরান—দুই দেশই দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে প্রতীয়মান হয়। ফলে পারস্পরিক পাল্টা হামলার আশঙ্কা প্রবল। আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকবারজাদেহ বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে ইরান এখন পর্যন্ত সীমিত প্রতিক্রিয়া দেখালেও, যদি ইসরায়েল ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের, বিজ্ঞানীদের, সামরিক ঘাঁটি কিংবা পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানায়, তেহরান তা কখনোই মেনে নেবে না।
তার মতে, এটি গোটা অঞ্চলের জন্য একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ মোড়, কারণ পর্যবেক্ষকদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন—এ পরিস্থিতি সহজেই বিস্তৃত হতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্র এতে জড়িয়ে যেতে পারে। যদিও ইরান স্পষ্টভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যেতে চায় না, কারণ সামরিক দিক থেকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার সক্ষমতা তাদের নেই। তবুও ইসরায়েল যেন ইচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি পরিস্থিতির দিকেই ধাবিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল যখন ইরানের ওপর হামলা চালায়, তখন ইরান প্রতিক্রিয়া দেখাতেই বাধ্য হয়। মনে হচ্ছে, ইসরায়েল এ চক্রাকারে সংঘর্ষ শুরুর ওপর নির্ভর করছে। একবার লড়াই শুরু হলে, যুক্তরাষ্ট্র তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় এগিয়ে আসবে—এটাই নেতানিয়াহুর প্রত্যাশা। মূল উদ্দেশ্য, যুক্তরাষ্ট্রকে সংঘর্ষে জড়িত করে ইরানে রাজনৈতিক শাসন পরিবর্তন ঘটানো।