ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের একাধিক শহর। শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত ইরানি বাহিনী হাইফা, তেল আবিব, তামরা, বাত ইয়াম ও রামাত গানসহ বিভিন্ন স্থানে একযোগে হামলা চালায়। এতে ইসরায়েলের বহু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দুই শতাধিক মানুষ হতাহত হয়। প্রাথমিকভাবে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০০ জন, পাশাপাশি কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানা গেছে। সর্বশেষ এই হামলায় ইরান ব্যবহার করেছে উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। উত্তর ইসরায়েলের তামরা শহরে এ হামলায় অন্তত চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের সবাই আরব ইসরায়েলি এবং তারা খাতিব পরিবারের সদস্য বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। উল্লেখ্য, শহরটি মূলত ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলিদের বসবাসের এলাকা।
অন্যদিকে, তেল আবিবের উপকণ্ঠে অবস্থিত বাত ইয়াম শহরে ইরানি হামলায় আরও অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন ষাটোর্ধ্ব নারী ও একটি দশ বছর বয়সী শিশুও রয়েছে। সেখানে শুরুতে ৩৫ জন নিখোঁজ ছিলেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে পরে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ‘মাগেন ডেভিড আদম’ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া, রেহোবোতে হামলায় দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলার আগে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের সব নাগরিককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল, যদিও পরবর্তীতে সেই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব-অধ্যুষিত ইসরায়েলি শহরগুলোতে হতাহতের সংখ্যা বেশি হওয়ার একটি কারণ হলো, সেখানে নিরাপদ আশ্রয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। যদিও ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের নাগরিক, তথাপি তারা রাষ্ট্রীয় নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এছাড়াও, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মধ্য ইসরায়েলের রেহোবোতে অবস্থিত ‘ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স’-এর ল্যাবরেটরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় প্রতিষ্ঠানটি।