মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কখনো কখনো যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে এবং সেটির মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান ঘটাতে হয়। ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিবিসির। তিনি বলেন, “আমি আশা করি ইরান ও ইসরাইল কোনো এক সময় একটি বোঝাপড়ায় পৌঁছাবে। তবে বাস্তবতা হলো—অনেক সময় দেশগুলোর মধ্যে আগে সংঘাত বাধে এবং সেই যুদ্ধই সমাধানের পথ তৈরি করে।” জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পাশে আছে এবং সবসময় থাকবে। তবে তিনি ইসরাইলকে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধে কোনো বার্তা দিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।
এর পাশাপাশি, রোববার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ নামক নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প একই ধরনের মত প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “ইরান ও ইসরাইলকে শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে—এবং তারা পৌঁছাবেই।” এদিকে, মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার একটি প্রস্তাবনায় ট্রাম্প সম্মতি দেননি। সূত্র জানায়, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন।
সিবিএসকে দেওয়া তথ্যে তিনটি ভিন্ন সূত্র উল্লেখ করেছে, গত শুক্রবার ইরানের ওপর ইসরাইলি হামলার পর ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে একটি ফোনালাপ হয়, যেখানে খামেনিকে হত্যার প্রস্তাবকে ট্রাম্প যুক্তিযুক্ত মনে করেননি। যদিও ট্রাম্প এখনো এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য দেননি। এ সম্পর্কিত একটি সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ফক্স নিউজকে জানান, রয়টার্সে প্রকাশিত রিপোর্টটি তিনি সরাসরি অস্বীকার বা স্বীকৃতি—কোনোটিই করেননি, যেখানে দাবি করা হয়েছিল, খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় ট্রাম্প ভেটো দিয়েছিলেন।