দেশে করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাকালে যেন কেউ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রগুলোতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) সকালে এইচএসসি পরীক্ষাসংক্রান্ত একটি ‘অতীব জরুরি’ ক্যাটাগরির চিঠি জারি করে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই চিঠি জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), শিক্ষা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়, যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, করোনা এবং ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে কিছু বিশেষ নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। বিশেষভাবে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
নির্দেশনাগুলো হলো—
◉ পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় মাস্ক পরা আবশ্যক।
◉ প্রতিটি কেন্দ্রে প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
◉ ডেঙ্গু প্রতিরোধে কেন্দ্রে ও আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
◉ পরীক্ষা শুরুর আগে মশার ওষুধ স্প্রে করতে হবে এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হবে।
◉ পরীক্ষার আসন বিন্যাস শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে।
◉ প্রত্যেক কেন্দ্রে একটি সক্রিয় মেডিকেল টিম রাখতে হবে এবং এর জন্য সিভিল সার্জন বা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে।
◉ অভিভাবকদের কেন্দ্রে ভিড় না করার বিষয়ে সচেতন করতে হবে এবং এ বিষয়ে প্রচারণায় স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নিতে হবে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে এসব নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করে সুষ্ঠুভাবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন।