লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক নারীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে এক কলেজছাত্র (২৩) এবং পতিতাবৃত্তির অভিযোগে দুই নারী ও দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ জুন) বিকাল ৪টায় থানায় পৃথক মামলা দেখিয়ে ৫ জনকে আদালতের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার রাত ১১টায় রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউপির বেড়িবাঁধ সড়কের বটতলা নামক স্থান থেকে হাজিমারা ফাঁড়ি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। সকালে তাদের রায়পুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউপির চরকাছিয়া গ্রামের কৃষক আবদুর জব্বারের ছেলে কলেজ ছাত্র রিয়াদ (২৩), রায়পুরের চরঘাসিয়া গ্রামের সর্দার বাড়ির কৃষক জাকিরের ছেলে মো. মানিক (২৫) ও ভোলার বোরহান উদ্দিন গ্রামের খোকনের ছেলে শাকিল (২৭) এবং শরীয়তপুর-রামগতি উপজেলার দুই নারী। চরকাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, মানিক ও শাকিল দুই বন্ধু। বৃহস্পতিবার রাতে তারা ভোলা থেকে দুই বিবাহিত নারীকে রায়পুরের চরবংশী ইউপির বটতলা এলাকায় নিয়ে আসেন। পরে বেড়িবাঁধের পাশে স্থানীয় একজনের বসতঘর ভাড়া নিয়ে পতিতাবৃত্তি শুরু করেন।
এ ঘটনা জানতে পেরে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন, তা নাহলে এক নারীকে নিয়ে রাত কাটার প্রস্তাব দেন কলেজছাত্র রিয়াদ। এতে রাজি হয়ে এক নারীর সঙ্গে মেলামেশা করেন তিনি। এতে টাকা না দেওয়ায় রিয়াদের সঙ্গে ঝগড়া হয় ওই নারীর। এ সময় স্থানীয় লোকজন রিয়াদসহ তিন যুবক ও দুই নারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় কলেজছাত্র রিয়াদ হোসেন বলেন, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আমি ভুল করেছি।
দক্ষিণ চরবংশী ইউপি সদস্য মো. শেখ ফারুক বলেন, অন্য জেলা থেকে বিবাহিত নারীদের রায়পুরে এনে পতিতাবৃত্তি করে মানিক ও শাকিল। আবার ওই নারীদের একজনকে স্থানীয় কলেজছাত্র ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ ছেলে-মেয়েই খারাপ। এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে কলেজছাত্রকে এবং পতিতাবৃত্তির অভিযোগে দুই নারী ও দুই যুবককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।