গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় এবং সেখানে সহায়তা পৌঁছাতে ইসরায়েলের আরোপিত বাধার কারণে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি সরাসরি ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে জানিয়ে বলেন, গাজার লাখো মানুষের অনাহারে থাকা অবস্থা ভয়াবহ ও বেদনাদায়ক।এএফপি’র এক প্রতিবেদনে বুধবার (২১ মে) এই তথ্য জানানো হয়। ডেভিড ল্যামি ১১ সপ্তাহ ধরে চলমান মানবিক সহায়তা অবরোধকে ‘নিষ্ঠুর’ উল্লেখ করে তা অবিলম্বে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি এই বিষয়ে সরাসরি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়া, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামি স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবরোধ যদি চলতেই থাকে, তবে যুক্তরাজ্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ব্রিটেন এই মানবিক সহায়তা অবরোধ তৎক্ষণাৎ প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের ক্রমবর্ধমান চাপের প্রতিফলন, বিশেষত ফিলিস্তিনিদের মানবিক অবস্থার অবনতিকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ যেভাবে বাড়ছে।বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠন জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধসহ ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অব্যাহত অবরোধের কারণে এসব সহায়তা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপকে কূটনৈতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে মানবিক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলা হয়েছে। প্রতিবছর ব্রিটেন ও ইসরায়েলের মধ্যে বিলিয়ন পাউন্ডের পণ্য ও সেবাবাণিজ্য হয়ে থাকে। এত দীর্ঘকালীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া কূটনৈতিকভাবে একটি দৃঢ় বার্তা বহন করে। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বহু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করতে এবং সহিংসতা বন্ধে বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে।