গ্রীষ্মকালীন দলবদল শেষ হতে এখনও মাত্র নয় দিন বাকি, তবে তার আগেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নতুন রেকর্ড গড়ে দিয়েছে ক্লাবগুলো। এই মৌসুমে খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে ক্লাবগুলো ২.৩৭ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছে, যা ২০২৩ সালের ২.৩৬ বিলিয়ন পাউন্ডের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। শুধু শেষ নয় দিনেই কতদূর এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, সেটিই এখন ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। নতুন রেকর্ড গড়ার মধ্যে একটি নজরকাড়া দলবদল হলো সুইস স্ট্রাইকার নোয়াহ ওকাফোরকে এসি মিলান থেকে ১৮ মিলিয়ন পাউন্ডে দলে ভিড়ানো হয়েছে লিডস ইউনাইটেডে। এই ট্রান্সফার প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছে। গত মৌসুমে লিভারপুলের একক আধিপত্য দেখা গিয়েছিল ইপিএলে। তবে ক্লাবগুলো দ্রুত শক্তিশালী দল গঠনের দিকে মনোনিবেশ করেছে, যাতে তারা সামনের মরশুমে প্রতিযোগিতায় সমানভাবে শক্তিশালী অবস্থানে থাকতে পারে।
২০২৩ সালে চেলসি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা এনজো ফার্নান্দেজকে ব্রিটিশ রেকর্ড ১০৭ মিলিয়ন পাউন্ডে দলে ভিড়িয়েছিল। সেবার ক্লাবগুলোর মোট খরচ হয়েছিল ২.৩৬ বিলিয়ন পাউন্ড, যা পূর্বের মৌসুমের ১.৯২ বিলিয়ন পাউন্ডের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছিল। এর আগে ২০২৪ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ইংলিশ ক্লাবগুলো মোট ১.৯৮ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছিল। এ থেকে স্পষ্ট, প্রতি মৌসুমে দলবদলের বাজার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্লাবগুলোর নীতি ও ফুটবলার চাহিদার ভিত্তিতে এই খরচে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হচ্ছে। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন উচ্চ খরচ শুধুমাত্র খেলোয়াড় কেনার উপর সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি ক্লাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, শক্তিশালী দল গঠন এবং প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জনেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগে শক্তিশালী দল গঠন এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিটি ক্লাবই নিজেদের বাজেট সীমার মধ্যে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করছে।
এদিকে, গত কয়েক বছরের দলবদল ইতিহাস দেখলে বোঝা যায়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো প্রতিটি মৌসুমে নতুন রেকর্ড স্থাপন করে আসছে। ২০১৯-২০২০ মৌসুমে খরচ হয়েছিল ১.৯২ বিলিয়ন পাউন্ড, ২০২৪ গ্রীষ্মকালীন দলবদলে তা বেড়ে হয়েছিল ১.৯৮ বিলিয়ন পাউন্ড, এবং এবার ২০২৫ মৌসুমে তা আরও বেড়ে ২.৩৭ বিলিয়ন পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে। ফুটবল অনুরাগীরা এখন অপেক্ষায় আছেন শেষ নয় দিনের দলবদলের শেষ রেকর্ড দেখতে, যখন প্রতিটি ক্লাব তাদের দলকে সর্বোচ্চ শক্তিশালী করতে আরও বড় বিনিয়োগ করবে। এভাবে প্রতিটি গ্রীষ্মকালীন দলবদল শুধু খেলার মান নয়, বরং প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসেও নতুন রেকর্ড গড়ে দিচ্ছে।