বাংলাদেশ ঘরের মাটিতে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নেবে। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও শ্রীলংকায়। নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে চায়। ২৭ আগস্ট বাংলাদেশে পৌঁছাবে ডাচরা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ইতিমধ্যে ২০ আগস্ট থেকে সিলেটে অনুশীলন শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ চারটিতে এবং নেদারল্যান্ডস একটিতে জয় পেয়েছে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আট উইকেটে জয় পেলেও এরপর ডাচরা সহজে হার মানেনি; প্রতিটি ম্যাচে বাংলাদেশকে লড়াই করে জিততে হয়েছে। তাই স্বাগতিক দল নেদারল্যান্ডসকে হালকা চোখে দেখছে না। প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ বেছে নিয়েছে সিলেটের ভালো মানের উইকেট। শেষবার দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও টিম ম্যানেজমেন্ট এটিকে আদর্শ প্রস্তুতি মনে করেনি। এশিয়া কাপের আগে দল ফিটনেস, স্কিল, পাওয়ার হিটিং এবং মনস্তাত্ত্বিকসহ সব ধরনের অনুশীলন করছে। যদিও সিলেটে বৃষ্টির কারণে কিছুটা অনুশীলনে বাধা পড়ছে, তবু ক্রিকেটাররা প্রস্তুতির পাশাপাশি মজা করতেও সময় পাচ্ছে।
এদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলে বিশ্বকাপের আগে ভালো প্রস্তুতি হবে বলে আশাবাদী নেদারল্যান্ডসের প্রধান কোচ রায়ান কুক। বিশেষ করে বাংলাদেশের ভরা গ্যালারির সামনে খেলা ডাচ ক্রিকেটারদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা হবে, এমনটাই তার ধারণা। তিনি এক ভিডিওবার্তায় বলেন, “বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পর থেকেই আমরা ভালো প্রস্তুতির সুযোগ খুঁজছিলাম। উপমহাদেশের পরিবেশে, একটি পূর্ণ সদস্য দেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা, প্রচুর দর্শক এবং মিডিয়ার আকর্ষণ-এসব আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। এ ধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান। তাই ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য এই সিরিজটা অত্যন্ত কার্যকর হবে।” কুক আরও বলেন, “আমাদের দলের কয়েকজন খেলোয়াড় এর আগেও এশিয়ায়, বিশেষ করে ভারতে, বিভিন্ন বিশ্বকাপে খেলেছে। তাই পরিবেশটা তাদের কাছে পরিচিত। তবে কয়েকজনের জন্য এটি নতুন অভিজ্ঞতা হবে। বাংলাদেশ অসাধারণ একটি দেশ। আমি নিজেও সেখানে অনেক সময় কাটিয়েছি। সেখানকার উত্তেজনা, দর্শক এবং খেলার প্রতি মানুষের আবেগ সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি নিশ্চিত, আমাদের ছেলেরা এই সুযোগ পুরোপুরি উপভোগ করবে।”
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ আগস্ট। পরের দুই ম্যাচ হবে যথাক্রমে ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর। সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবং শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।